রাজ্যে একশ্রেণির বৈজ্ঞানিকের উদয় হইয়াছে। স্বঘোষিত ভোট-বৈজ্ঞানিক। ইহারা ভোটকর্মে (নাকি লুন্ঠনে!) সিদ্ধহস্ত বলিয়া নিজেদের দাবি করিযা থাকেন। ইহা কেমন বিজ্ঞান! নাকি কল্পবিজ্ঞান! কিন্তু ইহা ফলপ্রসূ হইল কই? পরীক্ষার খাতায় শূন্য পাইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে গৃহে ফিরিতে হইল। নিজেরাই প্রায় সকল ওয়ার্ডে নাকাল হইয়াছে। অবশ্য সব পরাজয়ই নাকি হার নহে।
ইহারা আবার ভোট-পরবর্তী কালে 'দেখিয়া লইব' -- এতদৃশ হুমকি দিতেও দুইবার ভাবেন নাই। এই মন্তব্যে নিচুতলার বহু চোর-তস্কর-গুন্ডা-বদমাশ; যাহারা ভোটলুঠে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাহারা উস্কানি পায় বটে। কিন্তু মানুষ মুখ ফিরাইয়া লয়।
প্রবাদ আছে, 'বৃক্ষের শত্রু লতা, মনুষ্যের শত্রু কথা।' বয়সে প্রাজ্ঞ হইলে কেশ শ্বেতশুভ্র হয়, কিন্তু রাজনীতিতে প্রাজ্ঞ হইলেও যে স্বভাব সাদা হইবে --এমন যুক্তি অবশ্য চলে না। 'যে ক্ষৌরিত-চিকুর হতভাগ্য একবার বিল্বতলে গিয়াছে, সে আর দ্বিতীয়বার যাইবে না' - কিন্তু হায়! কা কস্য পরিবেদনা। কুকথা বলিতে তো আর রাজকর দিয়ে হয় না। 'উদ্যতফণা সর্প যেমন বিদ্যুদ্বেগে দংশন করে' তেমনই জনগণকে উত্তেজিত করিলে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়, ইহা বলাই বাহুল্য।
~~
Manjul Talukder
Alipurduar.
May, 2019
Comments
Post a Comment