📌 NOTES XII সংস্কৃত
গল্পঃ বনগতা গুহা - Marks: 5
প্রশ্ন) *অলিপর্বার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো?*
*উত্তর:* শ্রী গোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত “চোরচত্বারিংশী কথা” নামক অনুবাদ গ্রন্থের প্রথম ভাগ “বনগতা গুহা”। অলিপর্বাই গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র। এখানে গরীব কাঠুরে অলিপর্বার দৈবসহায়তায় ধনভাণ্ডার প্রাপ্তির কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে অলিপর্বার কতগুলি চরিত্রবৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। যেমন –
🎯1) *দরিদ্র অলিপর্বা:* কাঠুরে অলিপর্বা ছিল দরিদ্র। সে বিয়ে করেছিল এক দরিদ্রের কন্যাকে। নিঃস্বের মত হতশ্রী এক কুটিরে ছিল তার বাস –“স নিঃশ্রীক উটজে কৃতাবাসঃ”। অতিকষ্টে নিজ স্ত্রী ও সন্তানদের পালন করতো সে – “মহতা কষ্টেন পুপোষ”।
🎯2) *পরিশ্রমী*: পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার পথকেই বেছে নিয়েছিল অলিপর্বা। তার সহোদর ভাই কশ্যপের মতো কোনও ধনবান ব্যক্তির কন্যাকে বিবাহ করে বিত্তবান হওয়ার ইচ্ছা তার ছিল না। প্রতিদিন ভোরে উঠে সে বনে যেত জ্বালানি কাঠ ছেদনের জন্য –“প্রত্যহমুষসি সমুথ্থায় ইন্ধনচ্ছেদনায় বিপিনং ব্রজতি”। তারপর সেই কাঠ নগরে এনে বিক্রি করতো। বিক্রয়ের অর্থ দিয়ে সংসার চালাত–“ততশ্চ লব্ধেন ধনেন বৃত্তিং করোতি”।
🎯3) *দৈববিশ্বাসী*: অলিপর্বা ভাবল, গুহাদ্বার খোলার মন্ত্র দিয়ে গুহাদ্বার খুলবে কি না। সে জানত দৈবের ইচ্ছা ছাড়া কিছুই ঘটে না। সবই দৈবের অধীন –“ততঃ পরং দৈবস্যায়ত্তম্।” সেদিন দৈব তার ওপর সুপ্রসন্ন ছিল।
🎯4) *প্রখর স্মৃতিশক্তি*: অলিপর্বার স্মৃতিশক্তিও প্রশংসার যোগ্য। দস্যুসর্দারের মুখে একবার মাত্র গুহাদ্বার বন্ধ করা ও খোলার পদ্যটি শুনেই পুনরাবৃত্তি সে করে মুখস্থ করে ফেলেছিল।
🎯5) *কৌতূহল* : অলিপর্বার কৌতূহল ও পর্যবেক্ষণক্ষমতা অসাধারণ। বৃক্ষের শাখায় বসেই দস্যুদের সমস্ত গতিবিধি লক্ষ্য করেছিল সে। অশ্বারোহীদের দূর থেকে দেখেই দস্যু বলে বুঝতে ভুল হয়নি অলিপর্বার।বৃক্ষ থেকেই দস্যুদের গুণে ফেলেছিল সে। তাছাড়া দস্যুদের গুহায় প্রবেশ ও প্রস্থান পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনার উপর অলিপর্বা সজাগ দৃষ্টি রেখেছিল।
🎯6) *ধীর-স্থির*: অলিপর্বা ছিল ধীর-স্থির। দস্যুরা চলে গেলেও সে বৃক্ষেই বসেছিল। সে আশঙ্কা করল, যদি বৃক্ষ থেকে নামে এবং চলে যাওয়ার পূর্বেই যদি কোনও চোর ভুলে যাওয়া কোনও বস্তু নিতে ফিরে আসে তাহলে দেখামাত্রই সে চোরদের হাতে বন্দী হবে।
🎯7) *সাহসী*: দস্যুদের ডেরায় গিয়ে নিজ উদ্দেশ্যসিদ্ধি করেছে। এর মধ্যে দিয়ে অলিপর্বার সাহসিকতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
🎯8) *লোভহীনতা*: অলিপর্বা বেশি লোভী ছিল না। তিনটি গাধার পিঠে যতটুকু মাল বহন করা যায় ততটাই সে সোনাপূর্ণ বস্তা নিয়েছিল।
🎯9) *বাস্তববুদ্ধি:* সর্বোপরি অলিপর্বা ছিল বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন। গুহার ভিতরে রাশি রাশি খাবার, মহার্ঘ চীনা রেশমবস্ত্র এবং সোনা-রুপার শলাকা দেখলো, কিন্তু সে চামড়ার থলিগুলি অধিক মূল্যবান সোনা দিয়েই ভর্তি করে নিল। যাতে কেউ দেখতে না পারে গাধার পিঠের সোনাপূর্ণ বস্তাগুলো কাঠ দিয়ে ঢেকে দেয়। অতএব,আলিপর্বার বাস্তববুদ্ধি সে প্রখর ছিল –এবিষয়ে সন্দেহ নেই।
সমাপ্ত
📚📚📚📚
Comments
Post a Comment