************************
১. আত্মবিশ্বাস:
---------------------
আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও
প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ
বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলে অনেক
কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে
গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। আর পড়ালেখা করার
উত্তম সময় হচ্ছে ভোর। সকালে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে।
২. কনসেপ্ট ট্রি
---------------------
পড়া মনে রাখার ভালো কৌশল হলো ‘কনসেপ্ট ট্রি’। এ
পদ্ধতিতে কোনো একটি বিষয়ে শেখার আগে পুরো
অধ্যায়টি সাতটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য এক
লাইনে একটি করে সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায়
একটি গাছ এঁকে সাতটি সারমর্মকে গাছের একেকটি পাতায়
লিখে রাখতে হবে। পাতাগুলোতে প্রতিদিন চোখ বোলালেই
অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। এটি
একটি পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক ধারণা। বাংলা ও ভূগোলের
জন্য এ কৌশলটি বেশি কার্যকর।
৩. কি ওয়ার্ড
---------------------
যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব
সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর সাত রং মনে রাখার
সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা।
প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে
ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ আছে, কবরে
ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে।
এর অর্থ দাঁড়ায়, সাইন=লম্ব/অতিভুজ (সাগরে লবণ আছে),
কস=ভূমি/অতিভুজ (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ভূমি
(ট্যারা লম্বা ভূত)।
৪. কালরেখা
---------------------
ইতিহাস মনে রাখায় এ কৌশলটি কাজে দেবে। বইয়ের সব
অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে গত ৪০০ বছরের
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে। সেখান থেকে
কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী
খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ
বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি
হবে। ফলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু আলাদা
আলাদাভাবে ইতিহাস মনে রাখাটা কষ্টকরই বটে!
৫. উচ্চঃস্বরে পড়া
---------------------
পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চঃস্বরে পড়তে হবে। এই
পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে
আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময়
পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর
আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষ্ক
থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার
সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার
ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।
৬. নিজের পড়া নিজের মতো
------------------------------------------
ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। স্যারদের লেকচার ও
পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে নোট করার অভ্যাস
গড়ে তুলতে হবে। একটি প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে লেখার
চর্চা করতে হবে। নিজের তৈরি করা পড়া নিজের কাছে অনেক
সহজ মনে হবে। পরবর্তী সময়ে নিজের লেখাটি দু-একবার
পড়লে অনায়াসেই সেটি আয়ত্ত হয়ে যাবে এবং নিজের মতো
করে লেখা যাবে। আর এভাবে পড়লে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কাও
কম থাকে।
৭. নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণ
------------------------------------------
নতুন কিছু শেখার সময় একই রকম আরো বিষয় মিলিয়ে নিতে
হবে। কারণ একেবারে নতুন কোনো তথ্য ধারণ করতে
মস্তিষ্কের বেগ পেতে হয়। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে
নতুন তথ্য সংযোজন করতে পারে খুব সহজে।
উদাহরণস্বরূপ, ‘সিডি’ শব্দটি শেখার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের
কলের গানের কথা মনে রাখলে শব্দটা সহজেই মনে থাকবে।
শুধু মনে রাখতে হবে, শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা কী।
ফিজিক্সের নতুন কোনো সূত্র শেখার সময় মনে করে
দেখতে হবে, এ ধরনের সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের
সঙ্গে মেলে কি না।
৮. কেন-র উত্তর খোঁজা
------------------------
এ নিয়মটা প্রধানত বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের
জন্য প্রযোজ্য। তাদের মনে সব সময় নতুন বিষয় জানার
আগ্রহ প্রবল হতে হবে। অনুসন্ধানী মন নিয়ে কোনো কিছু
শিখতে চাইলে সেটা মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর
কোনো অধ্যায় পড়ার পর সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব
ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে। তবেই বিজ্ঞানের সূত্র
ও সমাধানগুলো সহজে আয়ত্ত করা যাবে।
৯. কল্পনায় ছবি আঁকা
---------------------
বিষয়সদৃশ একটি ছবি আঁকতে হবে মনে। গল্পের প্রতিটি
চরিত্রকে আশপাশের মানুষ বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে
হবে। তারপর সেই বিষয়টি নিয়ে পড়তে বসলে মানুষ কিংবা
বস্তুটি কল্পনায় চলে আসবে। এ পদ্ধতিতে কোনো কিছু
শিখলে সেটা ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আর
মস্তিষ্ককে যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত ধারালো হয়
ও পড়া বেশি মনে থাকে।
১০. পড়ার সঙ্গে লেখা
------------------------------------------
কোনো বিষয় পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি খাতায় লিখতে
হবে। একবার পড়ে কয়েকবার লিখলে সেটা সবচেয়ে বেশি
কার্যকর হয়। পড়া ও লেখা একসঙ্গে হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
(সংগৃহীত লেখা)
~~~~~~~~🎯🎯🎯🎯~~~~~~~~~
১. আত্মবিশ্বাস:
---------------------
আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও
প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ
বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলে অনেক
কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে
গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। আর পড়ালেখা করার
উত্তম সময় হচ্ছে ভোর। সকালে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে।
২. কনসেপ্ট ট্রি
---------------------
পড়া মনে রাখার ভালো কৌশল হলো ‘কনসেপ্ট ট্রি’। এ
পদ্ধতিতে কোনো একটি বিষয়ে শেখার আগে পুরো
অধ্যায়টি সাতটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য এক
লাইনে একটি করে সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায়
একটি গাছ এঁকে সাতটি সারমর্মকে গাছের একেকটি পাতায়
লিখে রাখতে হবে। পাতাগুলোতে প্রতিদিন চোখ বোলালেই
অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। এটি
একটি পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক ধারণা। বাংলা ও ভূগোলের
জন্য এ কৌশলটি বেশি কার্যকর।
৩. কি ওয়ার্ড
---------------------
যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব
সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর সাত রং মনে রাখার
সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা।
প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে
ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ আছে, কবরে
ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে।
এর অর্থ দাঁড়ায়, সাইন=লম্ব/অতিভুজ (সাগরে লবণ আছে),
কস=ভূমি/অতিভুজ (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ভূমি
(ট্যারা লম্বা ভূত)।
৪. কালরেখা
---------------------
ইতিহাস মনে রাখায় এ কৌশলটি কাজে দেবে। বইয়ের সব
অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে গত ৪০০ বছরের
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে। সেখান থেকে
কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী
খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ
বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি
হবে। ফলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু আলাদা
আলাদাভাবে ইতিহাস মনে রাখাটা কষ্টকরই বটে!
৫. উচ্চঃস্বরে পড়া
---------------------
পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চঃস্বরে পড়তে হবে। এই
পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে
আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময়
পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর
আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষ্ক
থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার
সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার
ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।
৬. নিজের পড়া নিজের মতো
------------------------------------------
ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। স্যারদের লেকচার ও
পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে নোট করার অভ্যাস
গড়ে তুলতে হবে। একটি প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে লেখার
চর্চা করতে হবে। নিজের তৈরি করা পড়া নিজের কাছে অনেক
সহজ মনে হবে। পরবর্তী সময়ে নিজের লেখাটি দু-একবার
পড়লে অনায়াসেই সেটি আয়ত্ত হয়ে যাবে এবং নিজের মতো
করে লেখা যাবে। আর এভাবে পড়লে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কাও
কম থাকে।
৭. নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণ
------------------------------------------
নতুন কিছু শেখার সময় একই রকম আরো বিষয় মিলিয়ে নিতে
হবে। কারণ একেবারে নতুন কোনো তথ্য ধারণ করতে
মস্তিষ্কের বেগ পেতে হয়। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে
নতুন তথ্য সংযোজন করতে পারে খুব সহজে।
উদাহরণস্বরূপ, ‘সিডি’ শব্দটি শেখার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের
কলের গানের কথা মনে রাখলে শব্দটা সহজেই মনে থাকবে।
শুধু মনে রাখতে হবে, শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা কী।
ফিজিক্সের নতুন কোনো সূত্র শেখার সময় মনে করে
দেখতে হবে, এ ধরনের সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের
সঙ্গে মেলে কি না।
৮. কেন-র উত্তর খোঁজা
------------------------
এ নিয়মটা প্রধানত বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের
জন্য প্রযোজ্য। তাদের মনে সব সময় নতুন বিষয় জানার
আগ্রহ প্রবল হতে হবে। অনুসন্ধানী মন নিয়ে কোনো কিছু
শিখতে চাইলে সেটা মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর
কোনো অধ্যায় পড়ার পর সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব
ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে। তবেই বিজ্ঞানের সূত্র
ও সমাধানগুলো সহজে আয়ত্ত করা যাবে।
৯. কল্পনায় ছবি আঁকা
---------------------
বিষয়সদৃশ একটি ছবি আঁকতে হবে মনে। গল্পের প্রতিটি
চরিত্রকে আশপাশের মানুষ বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে
হবে। তারপর সেই বিষয়টি নিয়ে পড়তে বসলে মানুষ কিংবা
বস্তুটি কল্পনায় চলে আসবে। এ পদ্ধতিতে কোনো কিছু
শিখলে সেটা ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আর
মস্তিষ্ককে যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত ধারালো হয়
ও পড়া বেশি মনে থাকে।
১০. পড়ার সঙ্গে লেখা
------------------------------------------
কোনো বিষয় পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি খাতায় লিখতে
হবে। একবার পড়ে কয়েকবার লিখলে সেটা সবচেয়ে বেশি
কার্যকর হয়। পড়া ও লেখা একসঙ্গে হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
(সংগৃহীত লেখা)
~~~~~~~~🎯🎯🎯🎯~~~~~~~~~
Comments
Post a Comment